Sri Anukul Chandra Thakur | শ্রী অনুকুল চন্দ্র ঠাকুর

 অনুকুল চন্দ্র ঠাকুর

ঠাকুর অনুকুলচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেছিলেন 14 ই সেপ্টেম্বর, 1888 (ভাদ্র ৩০ শে, বঙ্গাব্দের ক্যালেন্ডারের 1295) বাংলাদেশের পাবনা জেলার হিমাইতপুর গ্রামে। তাঁর পিতা শিবচন্দ্র চক্রবর্তী এবং মাতা মনমোহিনী দেবী।

অনুকুলচন্দ্র 1893 সালে হিমাইতপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু করেন। 1898 সালে তিনি পাবনা ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন এবং সেখানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। তিনি আমিরাবাদ  রায়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অল্প সময়ের জন্য এবং পরে 1905 সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনার নৈহাটি  উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তবে তিনি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্নাতক হননি। পরে অনুকুলচন্দ্র কলকাতার বো বাজারের জাতীয় হোমিওপ্যাথি মেডিকেল স্কুলে ভর্তি হন। অনুকুলচন্দ্র বিদ্যালয়ের উচ্চ বিদ্যালয়ের ডিপ্লোমা প্রয়োজনীয়তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন।

উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুকুলচন্দ্র বেশ কয়েকটি ছোট নাটক রচনা করেছিলেন, এটি প্রথম 1905 সালে। তিনি গান ও কবিতাও লিখেছিলেন যা পরবর্তীতে দেবজানি-ও-অনন্যা নামে একটি বইয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। 1910 সালে, অনুকুলচন্দ্র তাঁর এক বন্ধু অতুলচন্দ্র ভট্টাচার্যের জন্য কিছু গাইডের নির্দেশনা লিখেছিলেন, যা পরে 1918 সালে সত্যানুসরণ (সত্যের সন্ধান) নামে পুস্তিকা হিসাবে প্রকাশিত হয়েছিল।

1906 সালে 18 বছর বয়সে (শ্রাবণের 28 তম দিনে 1313 বাংলা), অনুকুলচন্দ্রের বাবা-মা তাঁর পাবনা শহরে বাসিন্দা ধোপদহ গ্রামের রামগোপাল ভট্টাচার্যের মেয়ে 11 বছর বয়সী সোরশিবালাকে বিয়ে করার ব্যবস্থা করেছিলেন।

মেডিকেল স্কুল শেষ করার পরে, অনুকুলচন্দ্র 1921 সালে  হিমাইতপুরে মেডিসিন অনুশীলন শুরু করেন। তিনি মাত্র তিন বছর হোমিওপ্যাথের চিকিত্সক হিসাবে অনুশীলন করেছিলেন। চিকিত্সক হিসাবে তাঁর খ্যাতি পার্শ্ববর্তী শহরগুলি এবং গ্রামে অলৌকিক নিরাময়ের দক্ষতার খবরের কারণে ছড়িয়ে পড়ে।

একজন চিকিত্সক হিসাবে তাঁর সাফল্যের শীর্ষে, অনুকচন্দ্র কীর্তন গোষ্ঠী গঠন করেছিলেন যা সমাজের সমস্ত স্তরের লোকদের আকর্ষণ করেছিল।

। অনুকুলচন্দ্রের খ্যাতি আস্তে আস্তে কেবল একজন 'চমত্কার চিকিত্সক' থেকে বন্ধুর, গাইড এবং আশ্রয়ের দিকে পরিণত হয়েছিল। অনুকুলচন্দ্র এই সময়ে শৈশবে তাঁর নিজের মায়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত 'পবিত্র নাম' নামে 'দীক্ষা' (বাংলা: দীক্ষা) প্রক্রিয়া দ্বারা আনুষ্ঠানিক ভক্ত হওয়া শুরু করেছিলেন।

 তাঁর হাজার হাজার ভক্ত অনুসারীরা যখন বেড়ে ওঠেন এবং তাঁর আশেপাশে বসবাস শুরু করেন, 1915 সালে, অনুকচন্দ্রের মা এই আন্দোলনটির নাম রাখেন “ সৎসং “ নামে।

1919 সালের শেষের দিকে, কীর্তন ও সানন্দে তাঁর খ্যাতির শীর্ষে একদিন সন্ধ্যায় অনুকুলচন্দ্র এক বিশাল জনতাকে কীর্তন না করে হতাশ করেছিলেন। অনুকুলচন্দ্র তার নতুন মিশন 'ভালোবাসার শ্রম' নামে শুরু করেছিলেন। হাজার হাজার ভক্ত তাঁর আশেপাশে বাস করায়, অনুকচন্দ্র তাঁর 'ম্যান মেকিং মিশন' শুরু করেছিলেন 'জাজন', 'জাজন' এবং 'ইষ্টভৃতি'' র তিনটি গাইড নীতি দিয়ে।

1946 সালের 2 সেপ্টেম্বর, অনুকুলচন্দ্র, 58 বছর বয়সে, অসুস্থ স্বাস্থ্যের কারণে তাঁর কয়েকজন ভক্ত এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে দেবঘর চলে গেলেন। তিনি দেওগরে যাওয়ার পরপরই ভারত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে, তবে বিভক্তও হয়েছিল। হিমাইতপুর  “ সৎসং “  এখন বাংলাদেশের যা কিছু অংশ হয়ে উঠেছিল। তিনি ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে প্রতিষ্ঠানটি পুনর্নির্মাণ করেছিলেন।

27 জানুয়ারী 1969 তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর  বড় ছেলে অমরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (21 নভেম্বর 1911 - August আগস্ট 1995), শ্রীশ্রী বড়দা নামে পরিচিত (বাঙালি: শ্রীশ্রীবড়দা) আচার্য হিসাবে সৎসংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন (যিনি তাঁর অনুশীলনের মাধ্যমে পথ প্রদর্শন করেন) )। 1969 সালে শ্রীশ্রীঠাকুরের মৃত্যুর পরে তিনি সৎসাং আন্দোলন রক্ষণাবেক্ষণের এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি ভারতের বিভিন্ন অংশে সৎসং অনুসারীদের দ্রুত সম্প্রসারণ এবং পাশাপাশি বহুসংখ্যক সৎসং কেন্দ্র গড়ে তোলার কৃতিত্ব পেয়েছিলেন।

জাজন - একটি জীবন্ত আদর্শ অনুসরণ করে নিজেকে উন্নীত করা।

জাজন - সক্রিয় পরিষেবার মাধ্যমে অন্যকে উন্নত করা।

ইষ্টভৃতি - একটি প্রতিদিনের প্রেমের অফার।

স্বস্তায়নী - স্বাস্থ্যকর, সুখী ও দীর্ঘ জীবন অর্জনের জন্য পাঁচটি মূলনীতি।

সদাচার - অস্তিত্বের সবকিছু গ্রহণ এবং গ্রহণ করা।

রূপান্তর, - রূপান্তর  - ধর্মের পরিবর্তন নয়

__________________________________

Sri Anukul Chandra Thakur

Anukulchandra was born on September 14, 1888 (Bhadra 30th, 1295 of Bengali Calendar) in Himaitpur village in the Pabna district of Bangladesh. His father was Sivachandra Chakravarty and his mother was Manomohini Devi.

Anukulchandra started his formal education at Himaitpur village elementary school in 1893. In 1898, he was admitted to Pabna Institute and studied there up to the eighth grade. He attended Raipur High School at Amirabad for a short period and then in Naihati High School in the 24 Parganas of West Bengal until 1905. He did not however graduate from high school. Later Anukulchandra was admitted to the National Homeopathy Medical School of Bow Bazar in Calcutta. Anukulchandra tested out of the school's high school diploma requirement.

In high school, Anukulchandra wrote several short plays, the first in 1905. He also wrote songs and poems which were later published in a book, Debjani-O-Anyanya. In 1910, Anukulchandra wrote some guiding instructions for one of his friend Atulchandra Bhattacharyya, that was later published in 1918 as a booklet called Satyanusaran (The Pursuit of Truth).

At the age of 18 in the year 1906 (Bengali year 1313 on 28th day of Shrabana), Anukulchandra's parents arranged for him to marry Sorashibala, aged 11, daughter of Ramgopal Bhattacharya of Dhopadaha village, residing in Pabna town.

After finishing medical school, Anukulchandra started practicing medicine in Himaitpur in 1912. He practiced as a homeopath physician for only 3 years. His reputation as a physician spread in the neighboring towns and villages due to reports of a miraculous curing ability. 

At the height of his success as a physician, Anukulchandra formed a kirtan group which attracted a whole host of people from all strata of the society.

Anukulchandra's fame slowly turned from being just a 'wonderful physician' to a friend, a guide, and a shelter. Anukulchandra at this time had started having a formal devotee by the process of 'Initiation' (Bengali:- Deeksha) in the 'Holy Name' that he had received from his own mother in childhood.

 As the followers grew and started living around him, in the year 1915, Anukulchandra's mother gave a name to the movement as 'Satsang'.

At the end of 1919, at the height of his fame with kirtan and trance one evening Anukulchandra disappointed a mammoth crowd by not doing kirtan. Anukulchandra started his new mission called 'labor of love. With thousands of devotees living around him, Anukulchandra started his 'man-making mission' with three guiding principles of 'Jajan', 'Jaajan' and 'Ishtavrity'.

On 2 September 1946, Anukulchandra, at the age of 58, went to Deoghar with few of his devotees and family members owing to poor health. Soon after he went to Deoghar, India gained independence from the British Empire but was also partitioned. The Himaitpur Satsang became part of what is now Bangladesh. He rebuilt the institution at Deoghar, Jharkhand.

After his death on 27 January 1969 his oldest son Amarendranath Chakravarty (21 November 1911 to 6 August 1995), known as Sree Sree Borda), led the activities of Satsang as the Acharya (one who demonstrates the way through his practices). He was a key figure in the maintenance of the Satsang movement after Sree Sree Thakur's demise in 1969. He was credited with the rapid expansion of Satsang followers and well building of numerous Satsang centers in different parts of India.

Jajan – to elevate oneself by following a living ideal.

Jaajan – to exalt others through active service.

Ishtavrity – a daily love offering.

Swastayani - five basic principles to achieve a healthy, happy, and long life.

Sadachar - to accept and embrace everything existential.

Convergence, not conversion

 ____________________________________